Agriculture Loan

বাংলাদেশের কৃষি তথা গ্রামীণ অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধনে গ্রাম পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, বর্গা চাষীদের মাঝে ঋণ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার গুরুত্ব অপরিসীম । দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষি এবং এতদসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সহায়ক খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি করে খাদ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থানমূলক কর্মকান্ড ব্যাপক সমপ্রাসারনের লক্ষ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এর বিভিন্ন কৃষি ঋণ প্রোডাক্ট রয়েছে ।

যে সব খাতে ঋণ দেওয়া হয়

  • শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ ।
  • ট্রাক্টর ক্রয় ।
  • কৃষি ও সেচ যন্ত্রপাতিক্রয় ।
  • নার্সারী ও উদ্যান ভিত্তিক ফসলের উৎপাদন ।
  • গ্রামীন পরিবহন ( নৌকা , রিক্সা , ভ্যান ইত্যাদি)।
  • অন্যান্য কৃষিভিত্তিক প্রকল্প সমূহ ।
  • এছাড়াও খামার ভিত্তিক কৃষিকাজের জন্য মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে ঋণ বিতরন করা হয় ।

উদ্দেশ্য

  • খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন ও দারিদ্র বিমোচন ।
  • পল্লী অঞ্চলে আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ক্ষমতায়ন ।
  • কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি ভিত্তিক শিল্পের প্রসার ।

ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা

  • কৃষি কাজে সরাসরি নিয়োজিত প্রকৃত কৃষকগণ / খামারীগণ ।
  • ব্যাংকের শাখা অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা ।
  • বয়স ১৮-৬০ বছরের মধ্যে ।
  • উদ্যোগী, কর্মঠ , আন্তরিক, সৎ ও নিষ্ঠাবান ।

বিঃ দ্রঃ খেলাপী ঋণ গ্রহীতাগণ ঋণপ্রাপ্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে ।

ঋণ প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • জাতীয় পরিচয় পত্র ( গ্রাহক ও তার স্ত্রী/স্বামী/পরিবারের সদস্যের )।
  • জামিনদারের জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত কৃষক পরিচয় পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ।
  • ব্যক্তিগত সম্পদ বিবরনী এবং আয়-ব্যয় বিবরনী ।
  • ব্যাংকের নিকট গ্রহনযোগ্য এলাকার দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র ।
  • কোন প্রতিষ্টানে খেলাপী ঋণ নেই মর্মে অঙ্গীকার নামা ।
  • আবাদী জমির সমর্থনে বৈধ কাগজপত্র (মালিক হলে দলিল, লীজ হলে লীজ ডকুমেন্ট, বর্গাচাষীর জন্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ বর্গাচুক্তি )।

খামার ভিত্তিক ঋণের জন্য

  • খামারের আয়-ব্যয় বিবরণী ।
  • ট্রেড লাইসেন্স।
  • টি আই এন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিবন্ধনের কপি ।
  • প্রজেক্টের খরচ যা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক যাচাইকৃত ।

ঋণ সীমা

  • উৎপাদন খরচ ও জমির পরিমান বিবেচনা করে শস্য ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ সীমা নির্ধারণ হবে ।
  • পুকুরের আয়তন ও খামারের আকারের উপর ভিত্তি করে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতে ঋণ সীমা নির্ধারিত হবে। তবে কৃষি যন্ত্রপাতি অর্থায়ন এবং মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ মূলধন অনুপাত ৭০:৩০ হবে ।

বিঃ দ্রঃ ঋণের পরিমাণ নির্ধারনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রদত্ত নীতিমালা অনুসরন করা হবে ।

ঋণ পরিশোধের মেয়াদ

  • সর্বোচ্চ ৩ বছর ।
  • ফসল মজুদ ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০ দিন ।
  • খামার ভিত্তিক ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদী ও চলতি ঋণের সুবিধা রয়েছে ।
  • ব্যাংক শাখা কর্তৃক যথাসময়ে সুষ্ঠভাবে ঋণ বিতরন, তদারকী ও আদায় কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি ফসল উৎপাদন পঞ্জিকা আছে যার ভিত্তিতে ঋণ বিতরন ও পরিশোধ সূচী নির্ধারন করা হবে।

সুদের হার

ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী সুদের হার নির্ধারিত হবে ।

জামানত

  • শস্য ঋণের ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রীর গ্যারান্টি সহ ব্যাংকের নিকট গ্রহন যোগ্য আরো দুজন ব্যাক্তির গ্যারান্টি তবে বর্গা চাষীর ক্ষেতে জমির মালিকের গ্যারান্টি বাধ্যতামূলক । তবে শস্য ঋণের পরিমানের উপর ভিত্তি করে ব্যাংকের প্রচলিত নীতিমালার আলোকে সহায়ক জামানতের প্রয়োজন হতে পারে ।
  • খামার ভিত্তিক ঋণের ক্ষেত্রে সহায়ক জামানত প্রয়োজন হবে ।

ঋণ আবেদনের পদ্ধতি

ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিকটস্থ শাখায় জমা দিতে হবে ।

 

এছাড়াও গৃহস্থালীতে সোলার প্যানেল স্থাপন এবং ডেইরী ও পোল্ট্রি ফার্মের মাধ্যমে বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য ঋণ দেওয়া হয় । এক্ষেত্রে ঋণের পরিমান ও পরিশোধ পদ্ধতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে ।